সৈয়দ রুম্মান
শব্দ মাত্রই কি অশ্লীল কিংবা একটি শ্লীল শব্দ ব্যবহারের কারণে অশ্লীল হবে, সে ব্যাপারটি আপেক্ষিক। আবার অশ্লীল অভিধাযুক্ত শব্দকেও শিল্পের তকমায় সাহিত্যে স্থান দেয়া যেতে পারে। তবে সে সাহিত্যের শিল্পমান নিয়েও প্রশ্ন করার অধিকার থাকতে হবে। এ দুয়ের মাঝে সাইয়েদ জামিলের প্রতিভাবান কবি হিশেবে “জীবনানন্দ দাশ পুরস্কার” নামক প্রথম আলোর স্টান্ট-এ আশ্চর্যান্বিত হওয়াটাও অস্বাভাবিক না। তবে, অদূর ভবিষ্যতে প্রথম আলো হয়তো পর্নোগ্রাফি কবিতা নামেও একটি সাব-ক্যাটাগরি তৈরি করতে পারেন । তখন চিরযৌবন রসময়কেও সর্বাধিক পঠিত হিশেবে রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া যাবে। কবি সাইয়েদ জামিলের লেখার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার পক্ষপাতি নই, তবে তার বিশেষ কোনো লেখাকে গ্রহণ না করার অধিকারও থাকতে হবে। আপাতদৃষ্টিতে, সে ক্ষেত্রে তিনিও কাউকে তার পুরস্কার প্রাপ্ত কবিতার পাণ্ডুলিপিটি পড়তে বাধ্য করছেন না। অপরদিকে, স্বাধীনতা যদি স্বেচ্ছাচারিতার নামে “গোপন জৈবিক চর্চা” অতিথিপূর্ণ ড্রয়িং রুম, উন্মুক্ত রাস্তা, ব্যস্ত রেস্তোরাঁ কিংবা খোলা পার্কে চলে আসে, তখন তাকে সমর্থন না করার অধিকার দিতে হবে। মানুষ হিশেবে কাউকে এই সহনশীলতা চর্চার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না ।
তবে, ফেইসবুকে কে কোন পৌস্টে লাইক দিলো, সেটি নিয়ে লেখকদের প্রিজাজমেন্টাল হওয়ার বিরোধী। এটি শ্লীল সাহিত্যে একটি অশ্লীল চর্চা। মতের ব্যবধানের কারণে অসহিষ্ণু হয়ে কাউকে ব্লক করে দেওয়াটাকে অশ্লীলতা হিশেবে বিচার করতে হবে।
কবি শিমুল সালাহ্উদ্দিনের পিতাকে জড়িয়ে স্পর্শকাতর যেকোনো মন্তব্য স্পষ্টভাবে যুক্তি ও প্রমাণ দাবি করে । আর যদি প্রমাণ না থাকে তবে তা প্রত্যহার করে পাবলিকলি ক্ষমা চাওয়ার দাবিকে অসহিষ্ণুতায় খর্ব করাটা হবে─অনৈতিক ও অবিচার।
http://www.priyo.com/blog/2015/01/28/130381.html
No comments:
Post a Comment